গণসংযোগে জনতার ঢল

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) সংসদীয় আসনে শুরু হয়েছে নির্বাচনের আমেজ। উক্ত আসনের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি জনাব, ওসমান গণি মহেশখালী কুতুবদিয়া সংসদীয় আসনের প্রতিটি ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লায় গণ সংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মহেশখালী কুতুবদিয়ার প্রায় প্রতিটি গ্রামে সদম্ভ পদাচরনা ঘটছে তার।

সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, জানাজা প্রভৃতি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে জানান দিচ্ছে তার উপস্থিতি। কক্সবাজার-২ সংসদিয় আসনটি ভৌগোলীক ও সরকারের মেগা প্রকল্পের কারণে জেলা তথা বৃহত্তর চট্টগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকায় পরিনত হয়েছে। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই প্রচারণা চালাচ্ছে সরকারের গৃহীত মেগা প্রকল্প সহ সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের। বিগত ০৬ মে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখা হাসিনার কক্সবাজারস্থ জনসভায় প্রায় ২০,০০০ এর অধিক জনতার মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা স্থলে পর্দাপণ করা ছিল টক অব দ্যা কক্সবাজার। সপ্তাহ জুড়ে কক্সবাজারের রাজনীতির আলাপ চারিতা এবং চায়ের কাপে ঝড় ওঠেছিল তরুণ প্রজন্মের এ উদীয়মান সাবেক ছাত্র নেতা’কে নিয়ে। এর কিছুদিন পর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু ও পরিবহণ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের “মাতারবাড়ী’তে অনুষ্ঠিত জনসভায়ও” তাক লাগিয়ে দিয়েছিলন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও আমজনতা’কে। জনসভা শুরুর প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে হাজার হাজার জনতা বাদ্যবাজিয়ে দীর্ঘ ৩ কিলোমিটার মিছিলটি জনসভাস্থলে প্রবেশ করতে পূর্ণ হয়ে যায় কানায় কানায়। তখন বেশ ভাল করেই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিগোচর ও আলোচনায় এসেছিল সাবেক ছাত্র নেতা ওসমান গণির এই মিছিলটি। মিছিল নয় যেন জন সমুদ্র। অবহেলিত ৫ ইউনিয়ন (হোয়ানক, কালারমারছড়া, ধলঘাটা, মাতারবাড়ী, শাপলাপুর) মহেশখালীর মোট ভোটারের ৭০% জনসংখ্যা অধ্যূষিত এলাকা।

ধলঘাটায় স্বেচ্ছায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ পরিদর্শন করছেন ওসমান গণি

উক্ত অবহেলিত উত্তর মহেশখালী এবং বিচ্ছিন্ন উপদ্বীপ ধলঘাটা মাতারবাড়ীর জনগণ অতীতে বার বার স্বপ্ন দেখেছিল কিন্তু সে স্বপ্ন স্বপ্নেই পর্যবসিত থেকে গেছে। তাই ধলঘাটার কৃতি সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন মেধাবী ছাত্র নেতা স্থানীয় রাজনীতিতে যখনই জনগণের কাতারে আসা শুরু করেছেন তখনই বৃহত্তর উত্তর মহেশখালীবাসী লুফে নিচ্ছে আমজনতার এ প্রিয় তরুণ রাজনীতিক’কে। মহেশখালীর অবহেলিত উত্তরাঞ্চল তথা আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংক নামে পরিচিত উত্তর মহেশখালীর স্বপ্নদ্রষ্টা কালারমারছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জনাব, ওসমান চেয়ারম্যানের জামাতা হওয়ায় তাকে নিয়ে অবহেলিত ৫ ইউনিয়নের সংখ্যা গরিষ্ট ভোটার স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছে বলে হোয়ানক, কালারমারছড়া, শাপলাপুর, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটার বেশ কয়েক জন প্রান্তিক শ্রমজীবি মানুষ ও হাটবাজারের দোকানদার এ প্রতিবেদক’কে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রীকর্তৃক নির্দেশিত পাড়া মহল্লায় উঠান বৈঠক করার বিষয়ে বেশ অগ্রগামী এই তরুণ রাজনীতিবীদ।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর আহবানে সম্প্রতি নিজ জন্মভূমি ধলঘাটা, মাতারবাড়ী, কালারমারছড়া, শাপলাপুর, ছোট মহেশখালী, কুতুবজোম ও পৌর এলাকায় অনেকগুলো উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় সভা করে বেশ আলোচিত হচ্ছেন তৃণমূল নেতাকর্মী ও আমজনতার মাঝে। যেখানে মতবিনিময় সভা উঠান বৈঠক হচ্ছেন সেখানে সীমাবদ্ধ থাকছে না উপস্থিতির পরিধি, পরিনত হচ্ছে জনতার ঢলে। উপজেলা সদরের তথা পৌর এলাকার এক প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে “ওসমাণ গণির পিছনে জনতার ঢল নামার কারণ একদিকে সাবেক ছাত্র নেতা, অন্যদিকে ক্লিন ইমেজ সম্পন্ন রাজনীতিবিদ, পাশাপাশি কক্সবাজার জেলার মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ মোঃ শরীফ চেয়ারম্যানের ছেলে প্রয়াত ওসমান চেয়ারম্যানের জামাতা এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ হোসাইন ইব্রাহিমের ও জামাতা এবং ঐতিহাসিক ব্যালট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ভূমিধস বিজয়ী কালারমারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফের ভগ্নিপতি।

গণসংযোগের একাংশ।

মহেশখালীর রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, মহেশখালী কুতুবদিয়া সংসদীয় আসনে কুতুবদিয়া এমনিতেই জামায়াত বিএনপির ঊর্বর ঘাটি, পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের উপজেলার সিংহভাগ ভোট ব্যাংকের মধ্যে যদি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী হয় তাহলে দলীয় ভোট এবং আঞ্চলিকতার ভোটে তাকে জিতে আসতে তেমন বেগ পেতে হবে না। এই দিকে মহেশখালী কুতুবদিয়ায় ব্যাপক আলোচিত ও জনপ্রিয়তার শিখরে অবস্থান করা তরুণ এ রাজনীতিক গত ১৫ আগষ্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্দ্যেগে ১৫ আগষ্টের দিন ব্যাপি প্রোগ্রাম, খতমে কোরআন ও বৃহৎ পরিসরে কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করে রীতি মত হৈ চৈ ফেলে দেয় মহেশখালীর রাজনীতির অঙ্গনে। যা সম সাময়িক মহেশখালী কুতুবদিয়ার ইতিহাসে সব চেয়ে বড় আয়োজন বলে লোকমুখে প্রচারিত হচ্ছে। যাতে শত শত আলেম ওলামা ও অংশগ্রহণ করে। তাছাড়া ঈদ পরবর্তী ধলঘাটার সাপমারার ডেইলে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে যাতে সর্বস্থরের মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়। সম্প্রতি ঈদুল আযহার সময় সাগরের সাথে মিশে যাওয়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ধলঘাটায় জনসাধারণের চলাচল, জীবন জীবিকার সুবিধার্থে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে ব্যক্তিগত ফাউন্ড দিয়ে, রাস্তা ও বেড়িবাধ সংস্কার করে দেওয়াটাও মহেশখালীতে ব্যাপক আলোচিত ঘটনায় রূপ নিয়েছে। জনসম্পৃক্ততা, নেতাকর্মীদের সাথে সুন্দর আচরণ, মানবিক কারণে এগিয়ে আশা সহ উল্লেখিত কারণ গুলো তার রাজনীতির জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে সর্বস্তরের জনতার মাঝে শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন বলে রাজনৈতিক সচেতন মহল ও পর্যবেক্ষক মহলে আলোচিত হচ্ছে।